Assistant teacher – শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তাকেই শিক্ষক বলা হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিতদেরই শিক্ষক বলা হয়। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার কাজে যারা আছেন তাদেরকে শিক্ষক বলা হয় আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধ্যাপক বলা হয়ে থাকে।
Assistant teacher
শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠেন বহু শিক্ষার্থী। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে? বিভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে,তা তুলে ধরা হলো।
প্রাথমিক বিদ্যালয়:
● শিক্ষাগত যোগ্যতা: পুরুষ প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণি।
● বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অথবা প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।)
● পরীক্ষা: লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিধিমালা ২০১৩-এর একটি বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, ‘সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০% মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, ২০% পোষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০% পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ:
● শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক (বা সমমানের ডিগ্রি) পাস হতে হবে। শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ (শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ/জিপিএ) গ্রহণযোগ্য হবে না।
● পরীক্ষা: মাধ্যমিকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ২০০ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় ৫০ নম্বর থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়:
● শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসি (বা সমমানের) পরীক্ষায় অন্তত জিপিএ ৪.৫০ থাকতে হবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লাগবে ৪ বছর মেয়াদি সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি । স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ন্যূনতম ৩.৫০ (৪ এর মধ্যে)। একই নিয়ম প্রকৌশল, স্থাপত্য ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও প্রযোজ্য। কলা ও মানবিক বিভাগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা—স্নাতকে ন্যূনতম ৩.২৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.০০। এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
● পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষা, ডামি ক্লাস ও ভাইভা শেষে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হবে।
শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।
Leave a Comment