ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন
ই–পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই–পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
E passport application
আবেদনকারীর বয়সের উপর নির্ভর করে, ই-পাসপোর্টটি পাঁচ বছর বা দশ বছরের জন্য বৈধ করা হয় এবং এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বা এর বিদেশী কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে জন্মগতভাবে নাগরিকদের বংশোদ্ভূত বা সরাসরি নাগরিকদের মধ্যে যোগ্য বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ই-পাসপোর্ট কি?
ই-পাসপোর্টে বৈদ্যুতিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এম্বেসড করা রয়েছে। ই-পাসপোর্টটিতে পাতলা ঝিল্লি স্তরে এম্বেসড হলোগ্রাফিক চিত্রসহ একত্রিশটি আলাদা সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য যুক্ত রয়েছে। এই সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য আলোর নিচে রঙ পরিবর্তন করে এবং চলন্ত হিসাবে প্রদর্শিত হয়।এছাড়া ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর যেকোনো দেশে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার যোগ্য। ই-পাসপোর্টধারীর ডেমোগ্রাফিক এবং বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন দশটি আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিস স্ক্যান, মুখের রঙিন ছবি এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর ই-পাসপোর্টে চিপে সংরক্ষণ করা হয়।
ই-পাসপোর্ট আবেদন যেভাবে করবেন
বাংলাদেশে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হয়।আগামীতে সমস্ত পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্টে রুপান্তর করা হবে।
পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবেঃ
একজন প্রাপ্তবয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।
প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যায়। এ ছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নেবেন। তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন। এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
ই-পাসপোর্টের সুবিধা
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
Related Post
২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু হয়। ই-পাসপোর্টে রয়েছে ইলেক্ট্রনিক চিপ যার মধ্যে উক্ত পাসপোর্ট হোল্ডারের সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে। epassport renew বর্তমানে সারা দেশে এবং দেশের বাইরেও E Passport প্রদান করা চালু করেছে। ই পাসপোর্ট এর অন্যতম সুবিধা হল দীর্ঘ সময় লাইনে না দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনে স্বয়ংক্রিয় ই-গেইটের মাধ্যমে চেকিং ছাড়াই প্রবেশ করতে…
বাংলাদেশী পাসপোর্ট হল বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি একটি মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র । পাসপোর্ট পুস্তিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর উৎপাদন, মুদ্রণ এবং জারি করে। Passport application online পাসপোর্টের ধরণ বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে। এর মধ্যে একটি লাল মলাট যা কূটনৈতিক পাসপোর্ট; নীল মলাট যা দাপ্তরিক পাসপোর্ট; এবং সবুজ মলাট…
আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পাসপোর্টটি সচল রাখতে রিনিউ করতে হয়।পাসপোর্ট কিভাবে সহজে নবায়ন করতে হবে তা বিস্তারিত নিচে তুলে ধরে হল। Epassport renew পাসপোর্ট নবায়ন কিংবা রিনিউ করতে চাইলে অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মে আবেদন করতে হবে। দালাল ছাড়া নিজেই অনলাইনে আবেদন করে স্বল্প খরচে Epassport renew করতে পারেন। পাসপোর্ট রিনিউ এবং নতুন…