ড্রাগ লাইসেন্স কিভাবে নেবেন
বর্তমান সময়ে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসীর ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এ ব্যবসা করতে হলে প্রয়োজন হয় লাইসেন্স করার, যেটাকে আমরা ড্রাগ লাইসেন্স হিসেবে জানি।
Drug license
ওষুধের দোকান বা ফার্মেসী খুলে বৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করতে চাইলে ড্রাগ লাইসেন্স নেয়া জরুরি। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হয়।
ঔষধ প্রশাসনের নির্ধারিত ফরম এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয় ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য। আর সাথে জমা দিতে হয় কিছু কাগজপত্র। চলুন জেনে নিই কি কি কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে সে সম্পর্কে।
ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
Drug license-সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। (ড্রাগ লাইসেন্স ফরম ডাউনলোড করুন)
-ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি সত্যায়িত ।
-আবেদনকারীর NID Card এর ফটোকপি।
-ট্রেজারে চালানোর মূল কপি জমা দিন।
-আবেদনকারীর ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র।
-ফার্মাসিস্টের সার্টিফিকেট অঙ্গীকারনামা ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
-দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিনামা।
ফার্মাসিস্টের সনদের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে আপনাকে ছয় মাস মেয়াদী একটি কোর্স করতে হবে। প্রতি তিন মাস পর পর ঔষধ প্রশাসনের সভা হয়, যেখানে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
ড্রাগ লাইসেন্স ফি
ড্রাগ লাইসেন্স ফি মেট্রোপলিটন ও পৌরসভার মধ্যে হলে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২৫০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে (ইউনিয়ন কাউন্সিলের অন্তভূক্ত এলাকায়) হলে ১৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকার উপর আরো বাড়তি ১৫% ভ্যাট প্রদান করতে হবে। তাছাড়া আর কোন বাড়তি ফি আপনাকে প্রদান করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে লাইসেন্স ফি পরিবর্তিত হতে পারে।
ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সকল নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করা এবং সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদান করে থাকলে ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে ড্রাগ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি ও ফি
ড্রাগ লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সরকার প্রদান করে থাকে। তাই মেয়াদ শেষ হলে ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করার প্রয়োজন হয়।
ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করতে যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন:
-মালিকের ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদপত্র ( ব্যাংক সল্ভেন্সি সার্টিফিকেট)।
-লাইসেন্স ফি জমা দেয়ার ট্রেজারী চালানের মুল কপি।
-দোকান ভাড়ার রসিদ বা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। নিজস্ব দোকান হলে দলিলের ফটোকপি।
-নিয়োজিত ফার্মাসিস্ট/কবিরাজ/হাকিম/ হোমিও ডাক্তারের অঙ্গীকারনামা।
-দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটো কপি কপি৷
-নিয়োজিত ফার্মাসিস্ট/কবিরাজ/হাকিম/হোমিও ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন সনদের মুল কপি ও সত্যায়িত ফটোকপি
-মালিকের নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি / ভোটার আই.ডি কার্ডের ফটোকপি ।
এর সাথে সাথে নির্ধারিত ফরম-৭ (বেঙ্গল ড্রাগ রুল ১৯৪৬ এ উল্লেখিত) সঠিকভাবে পুরন করতে হবে।
ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ফিঃ
এলোপ্যাথিকঃ
-পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৫০০/- আর পৌর এলাকার বাইরে (ইউনিয়ন কাউন্সিলের অন্তভূক্ত এলাকায়) ১৫০০/-
আয়ুর্বেদিক,ইউনানী,হোমিওপ্যাথিক,বায়োকেমিক,হারবালঃ
-পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২০০০/- আর পৌর এলাকার বাইরে (ইউনিয়ন কাউন্সিলের অন্তভূক্ত এলাকায়) ১০০০/-
লাইসেন্স নবায়ন ফি’র তালিকা (পরিবর্তিত হতে পারে)
ড্রাগ লাইসেন্স অফিস
এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য আপনি যোগাযোগ করতে পারেনঃ
ঔষধ প্রশাসন, ১০৫-১০৬, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।
টেলিফোন: ৮৮০-২-৯৫৫৬১২৬, ৯৫৫৩৪৫৬
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬৮১৬৬
ই-মেইল: drugs@citech.net
ঔষধের দোকান বা ফার্মেসি অথবা মেডিকেল শপ খোলার পূর্বে অবশ্যই আপনার ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।