অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন

বাংলাদেশী পাসপোর্ট হল বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি একটি মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র । পাসপোর্ট পুস্তিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর উৎপাদন, মুদ্রণ এবং জারি করে।

Passport application online

Passport application online

পাসপোর্টের ধরণ

বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে। এর মধ্যে একটি লাল মলাট যা কূটনৈতিক পাসপোর্ট; নীল মলাট যা দাপ্তরিক পাসপোর্ট; এবং সবুজ মলাট যা নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট। পাসপোর্টের মলাট টিয়ার প্রুফ টেক্সটাইল উপাদান দিয়ে তৈরি যা রাসায়নিক, ঘাম, স্যাঁতসেঁতে এবং তাপ প্রতিরোধী। কূটনৈতিক পাসপোর্ট কেবল বাংলাদেশের কূটনীতিকদের দেওয়া হয়। সরকারী পাসপোর্ট কেবলমাত্র বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী, সরকারী কর্মকর্তা এবং দূতদের দেওয়া হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকদের নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট দেওয়া হয়। সকল পাসপোর্ট পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি। এটি পাসপোর্টের সমস্ত ফাঁকা ভিসা পৃষ্ঠার সাথে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক চিহ্ন এবং বভবনের চিত্র। পাশাপাশি জনপ্রিয় বাংলাদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য তাদের নাম বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রেই নকশা করা হয়। পাসপোর্টের পৃষ্ঠা নম্বর দ্বিভাষিক – বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রেই লেখা হয়।

পাসপোর্ট আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারী অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে। বাংলাদেশে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হয়।আগামীতে সমস্ত পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্টে রুপান্তর করা হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার জন্য কোন কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করতে কিছু কাগজপত্র চেয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মূল জাতীয় পরিচয় পত্র, ই পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি, নাগরিক সনদ।

উপরোক্ত উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়াও আরো কিছু কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিচে তালিকা আকারে প্রকাশ করা হলো-

-জাতীয় পরিচয়পত্র / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
-আবেদন সামারী (Application Summery)
-ই পাসপোর্ট আবেদন কপি
-ইউটিলিটি বিলের কপি (গ্যাস/বিদ্যুৎ)
-পিতা-মাতার NID কার্ডের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
-নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
-পেশাজীবী প্রমাণপত্র

নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় আশাকরি তা সকলের কাছে রয়েছে।

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন

ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে প্রথমে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে Directly to online application ক্লিক করতে হবে।

-প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে।
-২য় ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
-তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। এছাড়াও যদি অধিদফতরের অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যে কোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর এখানে দিতে হবে।
-এরপর ফাইল সাবমিট করতে হবে।

আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে। পরবর্তী ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রস্তুতের পর আবেদনকারীকে জানানো হবে৷ আবেদনকারী নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন।

এছাড়াও দুদিনের মধ্যে অতি জরুরি পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে আগেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনতে হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্টের ফরমে প্রি-পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর নম্বর ফরমে উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের সময় জমা দিতে হবে ক্লিয়ারেন্সের কপি।

একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে।

এছাড়াও ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট এর খরচ
মেয়াদ পৃষ্ঠা সংখ্যা Regular Express Super Express
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৪০২৫ টাকা ৬৩২৫ টাকা ৮৬২৫ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠা ৬৩২৫ টাকা ৮৬২৫ টাকা ১২০৭৫ টাকা
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৫৭৫০ টাকা ৮০৫০ টাকা ১০৩৫০ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠা ৮০৫০ টাকা ১০৩৫০ টাকা ১৩৮০০ টাকা