Monkeypox বা এমপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ১৯৭০ সালে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।
Monkeypox
Monkeypox বা Mpox কি?
এমপক্স গুটিবসন্ত গোত্রীয় ভাইরাস।প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়।
Monkeypox থেকে এমপক্স
এমপক্সের ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল বানরের শরীরে। এ কারণেই এটি ‘মাঙ্কিপক্স’ নামে পরিচিতি পায়।তবে কেবল বানর নয়, ইঁদুরও এই ভাইরাসের বাহক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরুতে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত এ ভাইরাসের নাম পরিবর্তন করে এমপক্স রাখা হয়েছে। প্রাণীর প্রতি বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় ডব্লিউএইচও।
Monkeypox এর লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশিতে টান দেখা দিতে পারে। এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায়। ফুসকুড়িগুলো অত্যন্ত চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে পুঁজ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়।
এমপক্স এর সংক্রমণের ধরনের সঙ্গে স্মলপক্সের মিল আছে। তবে এমপক্সের সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বেশির ভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এমপক্স কিভাবে ছড়ায়
এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে।
বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
Monkeypox এর চিকিৎসা
এমপএক্সের টিকা আছে, তবে যারা ঝুঁকিতে আছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকছে কেবল তারাই এটি পেতে পারে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের প্রয়োজন তাদের সবার কাছে টিকা পৌঁছাবার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই।এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হলেও জরুরি ব্যবহারের জন্য এমপক্সের টিকাগুলো দেয়ার জন্য সম্প্রতি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
বৈশ্বিক কোনো পদক্ষেপ ছাড়া বর্তমান প্রাদুর্ভাব মহাদেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশে এমপক্স
সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এখনো দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি। তারপরও মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা গেলে সন্দেহভাজনদের দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।