যেকোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণ হলে মুখে রুচি সাময়িক কমে যায়। কিন্তু জ্বর সেরে যাওয়ার কিছুদিন পরও যদি এ সমস্যা সেরে না যায় এবং কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে.
bad taste in mouth
আদা, পুদিনা পাতা এবং চিনাবাদামের মাখনের মতো শক্তিশালী সুগন্ধযুক্ত এবং সুস্বাদু খাবার আপনার ঘ্রাণ এবং স্বাদ ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে। তীব্র সুগন্ধযুক্ত অপরিহার্য তেলও আপনাকে সাহায্য করতে পারে। রাঁধুনি এবং যারা খেতে ভালোবাসেন তারা তাদের স্বাদ এবং গন্ধ অনুভূতি ছাড়া বাঁচতে পারেন না।
শারীরিক ক্ষুধা হ্রাস:
- অসুস্থতা: সংক্রমণ, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্যান্সারের মতো অবস্থার কারণে।
- ওষুধ: ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা কেমোথেরাপি।
- ব্যথা: শারীরিক অস্বস্তি বা ব্যথা যা খাওয়া কঠিন করে তোলে।
- হজমের সমস্যা: বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধির মতো অবস্থা।
অনেকেরই মুখে রুচি থাকে না, কিছুই খেতে পারে না। এতে দিন দিন যেমন ওজন কমতে থাকে তেমনি অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা, বিষণ্নতাসহ আরো অনেক কারণেই অরুচি দেখা দেয়।
মুখে রুচি বাড়াতে প্রতি দিনের খাবার তালিকায় ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার যেমন আমলকি, আমড়া, লেবু, কমলা, মাল্টা, আনারস, আঙ্গুর, ব্রুকলি, গাজর, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম রাখতে হবে। প্রতি দিন সকালে আমলকি চিবিয়ে বা জ্যুস করে খাওয়া যেতে পারে। প্রতি বেলার খাবারের সঙ্গে লেবু, টম্যাটো চাটনি রাখা যেতে পারে। গাজর, কমলা, মাল্টা, আনারসের জ্যুসও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
জিংকযুক্ত খাবার যেমন ডিম, দুধ, পনির, বাদাম, সিড, রেডমিট, অরগ্যানমিট, মাশরুম, পালংশাক মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
খাবার আগে সামান্য আদা চিবিয়ে খেলেও মুখে রুচি বাড়ে। খাওয়ার আগে, মাঝ খানে পানি না খেয়ে খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পানি খেতে হবে। বিভিন্ন সুস্বাদু মসলা যোগ করে খাবারের স্বাদ বাড়াতে হবে। খাবারের সঙ্গে সামান্য আচার খেলেও রুচি বাড়ে। পুদিনার রসও খেতে পারেন অথবা সালাদ বা তরকারিতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতি দিন ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাতে খাবার সঠিকভাবে হজম হবে এবং ক্ষুধা লাগবে। যেহেতু মুখে অরুচি থাকলে বেশি খাবার খাওয়া যায় না, তাই অল্প করে একটু পরপর খাবার খেতে হবে। খাবার তালিকায় অবশ্যই পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন মাখন, ঘি, মিল্কশেক, ব্যানানাশেক, অ্যামন্ডমিল্ক রাখতে হবে। যাতে অল্প খাবার খেলেও ওজন না কমে এবং অপুষ্টি দেখা না দেয়।
-লেখক : পুষ্টি বিশেষজ্ঞ
গাজর, কমলা, মাল্টা, আনারসের জ্যুসও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। জিংকযুক্ত খাবার যেমন ডিম, দুধ, পনির, বাদাম, সিড, রেডমিট, অরগ্যানমিট, মাশরুম, পালংশাক মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। খাবার আগে সামান্য আদা চিবিয়ে খেলেও মুখে রুচি বাড়ে। খাওয়ার আগে, মাঝ খানে পানি না খেয়ে খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পানি খেতে হবে।