গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ কি
কোনও মাসে পিরিয়ড না-হলে তাঁকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ মনে করে থাকেন অধিকাংশ বিবাহিত মহিলাই। কিন্তু পিরিয়ড মিস হওয়াই গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ নয়। দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও গর্ভধারণ করেছেন অনেক মহিলা। পিরিয়ড ছাড়াও নানা শারীরবৃত্তিয় ঘটনা রয়েছে যা গর্ভধারণের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
Pregnancy symptoms
গর্ভাবস্থায়, মহিলাদের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং ক্লান্তি। প্রাথমিক দিনগুলিতে, ডিম্বাণু শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়, যার ফলে রক্তপাত এবং পেটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভধারণের ১-৩ সপ্তাহ পর থেকেই দেখা দিতে শুরু করে। তবে সবার ক্ষেত্রে লক্ষণ একরকম নাও হতে পারে। সাধারণ কিছু প্রাথমিক লক্ষণ হলো –
১. মাসিক বন্ধ হওয়া (Period Miss হওয়া)
এটি গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সাধারণ ও প্রথম লক্ষণ। যদি নিয়মিত মাসিক হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা থাকে।
২. হালকা রক্তপাত বা স্পটিং (Implantation Bleeding)
ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালে বসার সময় হালকা বাদামী বা গোলাপি রঙের রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত এটি মাসিক শুরুর তারিখের কাছাকাছি সময়ে হয়।
৩. স্তনে পরিবর্তন (Breast Changes)
স্তন ফুলে যাওয়া, ব্যথা বা চুলকানি অনুভূত হওয়া, নিপল গাঢ় রঙের হওয়া – এগুলোও প্রাথমিক লক্ষণ।
৪. অতিরিক্ত ক্লান্তি (Fatigue)
গর্ভাবস্থার হরমোন (Progesterone) বেড়ে যাওয়ায় অনেক বেশি ঘুম পেতে পারে বা শরীর দুর্বল লাগতে পারে।
৫. বমি বমি ভাব ও বমি (Morning Sickness)
সকালে বেশি হলেও দিনের যেকোনো সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। সাধারণত ৬ষ্ঠ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়।
৬. প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কিডনির কার্যকলাপ বেড়ে যায়, ফলে বেশি বেশি প্রস্রাবের প্রয়োজন হতে পারে।
৭. মুড সুইং ও হরমোনাল পরিবর্তন
অকারণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া, বিরক্তি বা খুশি লাগা – এগুলোও প্রাথমিক লক্ষণ।
৮. খাবারের স্বাদ-গন্ধে পরিবর্তন
আগে যেসব খাবার ভালো লাগত হঠাৎ অপছন্দ হওয়া বা নতুন কোনো খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া।
আপনি কি চাইবেন আমি একটা টেবিল আকারে (সপ্তাহ অনুযায়ী) গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাজিয়ে দিই যাতে সহজে বোঝা যায়?