গর্ভাবস্থায় সহবাসের নিয়ম কি ?
গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) সহবাস সাধারণভাবে নিরাপদ বলে ধরা হয়, যদি মা ও শিশুর কোনো বিশেষ ঝুঁকি না থাকে। তবে কিছু নিয়ম ও সতর্কতা মানা জরুরি
গর্ভাবস্থায় সহবাসের নিয়ম
১.চিকিৎসকের পরামর্শ নিনঃ যদি মা বা শিশুর স্বাস্থ্যগত জটিলতা থাকে (যেমন রক্তপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, প্রি-টার্ম লেবার ইত্যাদি), তাহলে সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত।
২.সঠিক ভঙ্গি বেছে নিনঃ
-এমন ভঙ্গি ব্যবহার করতে হবে যাতে স্ত্রীর পেটে চাপ না পড়ে।
-পাশ ফিরে শোয়া বা স্ত্রী উপরে থাকা অবস্থায় সহবাস তুলনামূলক নিরাপদ।
৩.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ
-সহবাসের আগে ও পরে পরিষ্কার থাকা জরুরি।
-যেকোনো সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে।
৪.চাপ ও কষ্ট এড়ানোঃ
-কোনো অবস্থাতেই জোরপূর্বক বা কষ্টদায়ক সহবাস করা যাবে না।
-স্ত্রী ক্লান্ত থাকলে বা অস্বস্তি অনুভব করলে বিরত থাকতে হবে।
৫.ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে সহবাস এড়াতে হবেঃ
-যোনি দিয়ে রক্তপাত হলে
-পানির মতো তরল (Amniotic fluid) বের হলে
-ডাক্তার যদি বেড রেস্ট পরামর্শ দেন
-প্লাসেন্টা সমস্যা (Placenta previa) থাকলে
-আগেভাগে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার ঝুঁকি থাকলে
মনে রাখবেন-
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সহবাসে সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ শিশুটি জরায়ুর ভেতরে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড ও মাংসপেশীর দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
বর্তমানে ডাক্তাররা গর্ভবতী নারীদের উদ্দেশ্যে বলে থাকে যে, গর্ভ ধারণের ১ম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস স্বামী সহবাস করা ঠিক নয়। এ সময় বাম কাত হয়ে শুলে গর্ভস্থ সন্তান ভালো থাকে, গর্ভাশয়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হয়। এ ছাড়াও এ সময় দূরে সফর করা এবং ভারি কাজ করা উচিৎ নয়। তাছাড়া মান সম্মত পুষ্টিকর খাবার খেলে প্রসূতি মা ও গর্ভস্থ সন্তান ভালো থাকে ইত্যাদি।