কোনও মাসে পিরিয়ড না-হলে তাঁকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ মনে করে থাকেন অধিকাংশ বিবাহিত মহিলাই। কিন্তু পিরিয়ড মিস হওয়াই গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ নয়। দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও গর্ভধারণ করেছেন অনেক মহিলা। পিরিয়ড ছাড়াও নানা শারীরবৃত্তিয় ঘটনা রয়েছে যা গর্ভধারণের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
Pregnancy symptoms
গর্ভাবস্থায়, মহিলাদের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং ক্লান্তি। প্রাথমিক দিনগুলিতে, ডিম্বাণু শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়, যার ফলে রক্তপাত এবং পেটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ:
কিছু মহিলাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করার আগেই সব ধরনের লক্ষণ শুরু হয়ে যায়, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে অল্প বা কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো –
- পিরিয়ড মিস হওয়া
- ক্লান্তি/অবসাদ বোধ করা
- ব্যাসাল বডির(Basal body) তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
- স্তনের পরিবর্তন (বড় হয়ে যাওয়া বা অন্যরকম বোধ করা)
- খুব অল্প পরিমাণে রক্তক্ষরণ (ইমপ্লান্টেশেনের কারণে)
- সার্ভিকাল শ্লেষ্মার (Mucus) পরিবর্তন
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
- মেজাজ পরিবর্তন
- পেট ফুলে যাওয়া
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- সকালে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া (মর্নিং সিকনেস)
- খাবারে অনীহা
- অতিরিক্ত লালা তৈরি হওয়া
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে প্রধান হলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্তনে ব্যথা ও কোমলতা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া। এছাড়াও, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, এবং কিছু ক্ষেত্রে হালকা রক্তপাত হতে পারে। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে, খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা বিতৃষ্ণা দেখা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলে, এই লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো:
-
-
মাসিক বন্ধ হওয়া:
এটি গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রথম লক্ষণ। যদি আপনার মাসিক নিয়মিত হয়ে থাকে এবং তা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে গর্ভাবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
-
-
স্তনে ব্যথা ও কোমলতা:
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তনে ব্যথা হতে পারে বা স্তন কোমল হয়ে যেতে পারে।
-
বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া:
একে মর্নিং সিকনেসও বলা হয়, যা গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের একটি সাধারণ লক্ষণ।
-
ক্লান্তি:
গর্ভাবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত হরমোন তৈরি হওয়ার কারণে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত লাগতে পারে।
-
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া:
গর্ভাবস্থায় জরায়ু প্রসারিত হওয়ার কারণে মূত্রথলির উপর চাপ পরে, যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
-
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি:
গর্ভাবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
হালকা রক্তপাত:
কিছু মহিলার ক্ষেত্রে, ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর হালকা রক্তপাত হতে পারে, যাকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলা হয়।
-
খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা বিতৃষ্ণা:
গর্ভাবস্থায় কিছু খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বা অরুচি হতে পারে।