প্রাইজবন্ড ড্র | Prize bond draw
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা। প্রাইজবন্ড অনেকটা লটারির মতো কিন্তু লটারি না। লটারি যেমন একবার ”ড্র” হয়ে গেলে সেটার আর মেয়াদ থাকেনা এবং লটারিটির মূল্যও থাকেনা অর্থাৎ লটারিতে না জিতলে পুরো টাকাটা লস। এদিকে প্রাইজবন্ড এর ”ড্র” হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয়না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইজবন্ড সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে।
প্রাইজবন্ড ড্র – Prize bond draw

সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য সরকার “জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর” এর মাধ্যমে সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে প্রাইজবন্ড বিক্রয় করার মাধ্যমে এবং সরকার তা আবার কিনে নিয়ে সে ঋণ পরিশোধ করে। এ বন্ড ক্রয় করে গ্রাহক তার ব্যক্তিগত লাভের পাশাপাশি দেশ গড়ার কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিস থেকে ১০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড কেনা ও ভাঙানো যায়।
প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার যথাক্রমে ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।
“ড্র” এর ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে .
পুরুস্কারের মূল্যমান যথাক্রমে প্রথম পুরুস্কার একটি ৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরুস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরুস্কার দুটি ১ লাখ টাকা করে, চতুর্থ পুরুস্কার দুটি ৫০ হাজার টাকা করে এবং পঞ্চম পুরুস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা করে।
প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয় বছরে চার বার যথাক্রমে ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।
প্রাইজবন্ড এর মূল্য কখনো শেষ হয়না। প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ড্র হওয়ার পরও, চাইলে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে আবার টাকা নিয়ে আসা যায়। তবে প্রাইজবন্ডের গ্রাহক কোন সুদ পাবেন না, এটি মুলত সরকারের প্রতি জনগণের একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ। তাই প্রাইজবন্ডকে সুদ মুক্ত জাতীয় বন্ড বলা হয়।
Leave a Comment