কম্পিউটার অপারেটরের কাজ কি ?

কম্পিউটার অপারেটরের প্রধান দায়িত্ব হল সঠিকভাবে বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম এবং সফটওয়্যার প্রোগ্রাম চালানো, ডেটা ইনপুট করা, বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করা, এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্য সুরক্ষিত রাখা।

কম্পিউটার অপারেটরের কাজ কি?

Computer Operator Jobs
কম্পিউটার অপারেটরের কাজ কি

কেউ যদি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভালো বিজ্ঞ হয় এবং ঐ অপারেটিং সিস্টেমের সবকিছু বোঝে তাহলে তাকে কম্পিউটার অপারেটর বলে।

কম্পিউটার অপারেটর কি?

কম্পিউটার অপারেটর হলো তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ। কম্পিউটার অপারেটরের কাজ হলো কম্পিউটারের সকল প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করা।আপনাকে কম্পিউটারের অফিস অ্যাপ্লিকেশন (মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, উইন্ডোজ ইত্যাদি প্রোগ্রাম) কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। আপনাকে ইন্টারনেট ও ডাটা এন্ট্রির কাজ অবশ্যই ভালোভাবে শিখতে হবে।

কম্পিউটার অপারেটরের কাজ সমূহ

  • ডেটা ইনপুট এবং প্রসেসিং: বিভিন্ন ডেটা সিস্টেমে তথ্য ইনপুট করা এবং প্রয়োজনীয় ডেটা প্রসেস করা।
  • সফটওয়্যার পরিচালনা: অফিস স্যুট (যেমন Microsoft Office, Google Workspace), ডেটাবেস সফটওয়্যার, এবং অন্য ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনা করা।
  • প্রতিদিনের ব্যাকআপ রাখা: সিস্টেমের ব্যাকআপ তৈরি করা যাতে তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
  • প্রতিবেদন তৈরি: প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করা।
  • প্রিন্টিং এবং ফাইলিং: প্রয়োজনীয় রিপোর্ট বা ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা এবং সেগুলোর সঠিকভাবে ফাইলিং করা।
  • সমস্যা সমাধান করা: কম্পিউটার বা সফটওয়্যারের সাথে কোনো সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা।

কম্পিউটার অপারেটরের দক্ষতা ও যোগ্যতা


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এ পেশায় কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ন্যূন্যতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা থাকলে আর কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে যে কেউ এ ধরনের কাজে যোগ দিতে পারেন।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়।

অভিজ্ঞতাঃ কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে নির্ধারিত হয়।

একজন কম্পিউটার অপারেটরের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
মাইক্রোসফট অফিসের ভালো ব্যবহার জানা
দ্রুত ও নির্ভুল টাইপিংয়ের ক্ষমতা
ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা
ধৈর্যের সাথে কাজের চাপ সামলাতে পারা
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারা

কর্মক্ষেত্র:

কম্পিউটার অপারেটরদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন হয়, যেমন:

  • সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান
  • ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সেবা সেক্টর
  • শিল্প এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
কম্পিউটার অপারেটরের মাসিক আয়


এ পেশায় যোগদান করে কমপক্ষে ৳১০,০০০ – ৳১৫,০০০ উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে কাজের ধরন ও গ্রাহক অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, এ পেশায় আয়ের সুযোগ তত বেশি।

এ পেশায় নির্দিষ্ট কোন ক্যারিয়ার পর্যায় নেই। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লিডার হিসেবে নতুন অপারেটরদের দিকনির্দেশনা দেয়ার কাজ পেতে পারেন।

Similar Posts

  • সফল ক্যারিয়ার গড়ার উপায়

    আমাদের সবারই কর্মক্ষেত্রে সফল হবার ইচ্ছে বা স্বপ্ন থাকে। প্রত্যাশিত চাকরি পাওয়ার পর সেই চাকরি থেকে সফল ক্যারিয়ারের দিকে হাঁটতে সবাই চায়। আর সেই স্বপ্ন পূর্ণ করে চাইলে আমাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে। How To Build A Successful Career আজ আমরা সফল ক্যারিয়ার গড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে

  • বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রস্তুতি

    আর সেই লক্ষ্যে ২০০৫ সাল থেকে সরকার কর্তৃক এনটিআরসিএ (ঘঞজঈঅ) গঠন করা হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা চালু করেছে এনটিআরসিএ। NTRCA preparation বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রস্তুতি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কমপক্ষে  স্নাতক পাশ হতে হবে। নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে

  • পেশা হিসেবে শিক্ষকতা

    আভিধানিক সংজ্ঞায় শিক্ষকতা হলো শিক্ষকের কাজ বা পেশা। জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ প্রদানই এ পেশার মূল বিষয়। মানুষকে পাশবিক থেকে মানবিক পর্যায়ে উন্নীত এবং অসভ্য থেকে সভ্যতার আলোয় আলোকিত করার পিছনে যে পেশার অবদান শতভাগ তা হচ্ছে শিক্ষকতা। এ পেশার মাধ্যমে একজন শিক্ষক তার উপর অর্পিত সামাজিক, মানবিক ও নৈতিক দায়িত্বগুলো অত্যন্ত সুচারু রূপে পালন করতে

  • বাংলাদেশের জনপ্রিয় পেশা সমূহ

    পেশা বলতে বিশেষ কোনো বিষয়ে নির্দিষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা, নৈপূন্য, মূল্যবোধ, বিশেষ নীতি ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বৃত্তিকে বোঝায়, যা সাধারণত জনকল্যাণমুখী এবং পেশাগত সংগঠন মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় পেশা সমূহ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রকৌশলের ক্ষেত্রের চাকরিগুলোতে অনেক বেশি উপার্জন করার সুযোগ থাকায় পেশা হিসেবে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কদর সব সময়ই অনেক বেশি হয়ে

  • বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস

    বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিসিএস এখনও সমাজের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি। দু একটি ক্ষেত্র ব্যতিত চাকরি নিরাপত্তা এবং সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণে বিসিএস এর বিকল্প বাংলাদেশে নেই। বেসরকারি চাকরির বিশাল বাজার বাঙালি যুবমানসে এখনও আস্থার সৃষ্টি করতে পারেনি। এ কারণে চাকরিপ্রার্থীরা এখনও বিসিএসকেই চাকরি তালিকার শীর্ষে রাখেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস দেশের রাজনৈতিক সরকার জনগণের স্বার্থে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ

  • চাকরির আবেদনপত্র লেখার নিয়ম

    Job application format বা চাকরির আবেদনপত্র হলো একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি, যা একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট চাকরির জন্য নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করতে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন। এটি চাকরিদাতার কাছে আবেদনকারীর যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং চাকরির প্রতি তার আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। Job application format দরখাস্ত লেখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো কোনক্রমে