সিপিএ মার্কেটিং গাইড
CPA এর অর্থ হলো Cost Per Action। CPA মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং যা অনলাইনে কোনো product বা business এর service অনলাইন ইউজার এর কাছে রেফারেন্স করে।
CPA Marketing
সিপিএ মার্কেটিং কি?
সিপিএ মার্কেটিং মুলত সার্ভিস রেফারেন্স করে। সিপিএ মার্কেটিং অনেকটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো মনে হতে পারে। তবে এই দুটোর মাঝে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও এক নয়।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইনে পণ্যের মার্কেটিং ঘটিয়ে পণ্য বিক্রি করা এবং তার উপর কমিশন লাভ করে আয় করা।সিপিএ মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্যই হলো আপনার সাইটের ট্রাফিককে নির্দিষ্ট কোন লিংকের মাধ্যমে অন্য কোন একটি সাইটে নিয়ে যেয়ে সেখানে নির্ধারিত কোন কাজ করানো।অর্থাৎ রেফারেন্স লিংকের মাধ্যমে ইউজারদের যদি নির্ধারিত কাজের ওপর লিড করাতে পারেন তবেই আপনার কমিশন পাবেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজঃ
সিপিএ মার্কেটিং এ গ্রাহকদের আপনি যে কমন কাজ গুলো করাতে পারেন তা হলোঃ
-email submission করানো
-application, software অথবা কোন game download করানো
-form fill up করানো
-form registration করানো
-survey জমা দেওয়া,
-বিভিন্ন ওয়েবসাইটে sign up করানো
-ক্রেডিট কার্ড সাবমিট।
সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?
আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে যেসব বিষয় আপনার প্রয়োজন হবে তাদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো , সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান। সিপিএ মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে জানা না থাকলে সিপিএ মার্কেটিং শিখে নিতে হবে এবং সিপিএ মার্কেটিং করতে বেসিক্যালি কি কি জিনিস লাগবে তা জানতে হবে।
সিপিএ মার্কেটিং করতে যা যা লাগে:
-কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ: একটি সচল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যতীত অন্য কোন ডিভাইস দিয়ে প্রফেশনালি সিপিএ মার্কেটিং করা কেবল আকাশ কুসুম কল্পনা।
-দ্রুত গতির ইন্টারনেট: ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আপনার ডিভাইসের কোনো অবদান নেই এবং যেহেতু এটি একটি অনলাইন কার্যক্রম, সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যতীত সিপিএ মার্কেটিং অসম্ভব।
-ই-মেইল অ্যাকাউন্ট: সিপিএ মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই নিজস্ব একটি অ্যাক্টিভ ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
-নিজস্ব কোন সাইট: আপনার যদি ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি কম্পিউটার ইতিমধ্যে থেকে থাকে, তবে এ পর্যায়ে আপনার প্রয়োজন হবে প্রফেশনাল মানের একটি সাইটের। যেখানে আপনি অফার লিংকসহ আপনার কাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা কনটেন্টগুলো পোস্ট করবেন। এটি হতে পারে কোন ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, ই-কমার্স সাইট এবং কোনো ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট।
-ভিজিটর বা ট্রাফিক: নিজস্ব কোনো সাইট তৈরি করার পর এ পর্যায়ে আপনাকে সাইটের ভিজিটরের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। সাইটে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভিজিটর বা ট্রাফিক না থাকলে সিপিএ মার্কেটিং করা যাবে না।
-সিপিএ নেটওয়ার্ক: সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদান তা হলো, একটি সিপিএ নেটওয়ার্ক বা প্লাটফর্ম যেখান থেকে সিপিএ মার্কেটিং এর অফারসমূহ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সবসময় ভালো মানের সিপিএ প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে সচেতন হতে হবে।