কিভাবে ল্যাপটপ এর গতি বাড়ানো যায়

ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে প্রচুর টেম্পোরারি ফাইল এবং জাঙ্ক তৈরি হয়। এ ছাড়াও ধুলোবালি পড়ে যন্ত্রাংশগুলো পুরোনো হতে থাকে এবং সফটওয়্যার আপডেট না করার ফলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়। জরুরি কাজ করছেন এমতাবস্থায় ল্যাপটপ হ্যাং হয়ে গেছে। এমন বিড়ম্বনা থেকে বাছতে ল্যাপটপকে ফাস্ট করা প্রয়োজন।

SpeedUP Laptop

ল্যাপটপের গতি বাড়ানোর সহজ কয়েকটি উপায়

* ল্যাপটপটি অন করে প্রথমে চেক করে দিন, কোনো ভাইরাস আছে কি না! ল্যাপটপে লোডিংয়ের সময় অযথা দেরি হলে ধরে নিতে হবে ম্যালওয়্যার হানা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো ভালো অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে স্ক্যান করে ভাইরাস এবং থ্রেটমুক্ত করে নিতে হবে।

* ব্যাকগ্রাউন্টে অনেক বেশি প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হলে ল্যাপটপের গতি কমে যাবে। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা এ সমস্যায় পড়েন বেশি। তাই টাস্ক ম্যানেজার থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন।

* এরপর অপ্রয়োজনীয় ফাইলে নজর দিন। একাধিক ফাইল জমে জমে ল্যাপটপে স্পিড কমে

যেতে পারে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত বা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইল রিসাইকল বিনে পাঠিয়ে দেওয়াই ভালো।

* যে কোনো ডিভাইসের গতি বেশি পেতে স্টোরেজ খালি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ল্যাপটপের গতি বাড়াতে হার্ড ড্রাইভের জায়গা খালি রাখতে হবে। কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ সম্পূর্ণ ভরে রাখা একেবারেই উচিত নয়। অনেকেই মনে করেন হার্ড ড্রাইভের ৮৫ শতাংশ ভরে গেলেই তা যন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ গতি হ্রাস পেতে পারে ল্যাপটপের। ডাউনলোড করা প্রোগ্রাম, ছবি, গানের লাইব্রেরি হার্ড ড্রাইভের উপর চাপ বাড়ায়। এজন্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল সরিয়ে ফেলুন।

* সারা দিনের ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের পর ব্রাউজারটাকে ক্লিন করতে হবে। বিশেষ

করে যাদের একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলে

রাখার অভ্যাস। এতে ব্রাউজার ওভারলোড হয়ে গতি কমে যায় ল্যাপটপের। পাশাপাশি ব্রাউজিং হিস্ট্রি জমিয়ে রাখবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করে ফেলুন।

* সলিড স্টেট ড্রাইভ পিসিতে যুক্ত করলে তা পিসির গতি অনেক বাড়িয়ে দেয়। পুরোনো পিসির গতি বাড়াতে অনেকেই আলাদাভাবে এসএসডি কার্ড কেনেন। এসএসডি কার্ড যুক্ত পিসিতে অ্যাডোবি ফটোশপের মতো সফটওয়্যারও লোড হয় দ্রুত গতিতে। ধারণক্ষমতা ভেদে এসএসডি কার্ডের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।