বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিসিএস এখনও সমাজের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি। দু একটি ক্ষেত্র ব্যতিত চাকরি নিরাপত্তা এবং সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণে বিসিএস এর বিকল্প বাংলাদেশে নেই। বেসরকারি চাকরির বিশাল বাজার বাঙালি যুবমানসে এখনও আস্থার সৃষ্টি করতে পারেনি। এ কারণে চাকরিপ্রার্থীরা এখনও বিসিএসকেই চাকরি তালিকার শীর্ষে রাখেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস

দেশের রাজনৈতিক সরকার জনগণের স্বার্থে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারি কর্মচারীদের উপর বর্তায় এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন বিসিএস কর্মকর্তারা। সুতরাং এ চাকরির মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রকে যেভাবে সরাসরি সেবা দেওয়া যায় অন্য কোন চাকরির মাধ্যমে সেটা অসম্ভব।

BCS নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বা Bangladesh Public Service Commission (BPSC)

বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন’ বা BPSC (Bangladesh Public Service Commission) । সংবিধানের ১৩৩ থেকে ১৪১ নং অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন এর কাজ এবং কাজের পরিধি বর্ণিত আছে। এই কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা। সরকারের ২৯টি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তা নিয়োগ হয়ে থাকে প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে।

BCS নিয়োগ প্রক্রিয়া

বিসিএস ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও কাজের ধরন অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: জেনারেল ক্যাডার ও প্রফেসনাল ক্যাডার।

জেনারেল ক্যাডার

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানকে অগ্রাধিকার না দিয়ে বরং স্নাতক বা স্নাতকোত্তর (নমুনা বিজ্ঞপ্তির সাধারণ ক্যাডারের শিক্ষাগত যোগ্যতা অংশ দেখুন) সনদকে প্রার্থীর যোগ্যতার মানদণ্ড ধরা হয়। বিভিন্ন বিষয়ের (বিজ্ঞপ্তির বিঃ দ্রঃ এর ৯ নম্বর দেখুন) উপর সাধারণ জ্ঞান যাচাই পূর্বক একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য। সাধারণ ক্যাডারসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর, নিরীক্ষা ও হিসাব ইত্যাদি। শারীরিখ যোগ্যতা সব ক্যাডারে সমান। পূর্বে পুলিশ ক্যাডারের জন্য শারীরিক উচ্চতা নির্দিষ্ট ছিল, এখন নেই। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার প্রতিটি পর্যায়ে সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কারণে সামাজিক দিক থেকে এদেশে প্রফেসনাল ক্যাডারের চেয়ে জেনারেল ক্যাডারকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রফেসনাল ক্যাডার

মূলত শিক্ষাজীবনে অর্জিত একাডেমিক জ্ঞান কর্মজীবনের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রফেসনাল ক্যাডারের মূল পরিচয়। বিশেষায়িত জ্ঞানের মাধ্যমে রাষ্ট্র তথা সমাজকে উপকৃত করাই এই ক্যাডারসমূহের মূল লক্ষ্য। বিসিএস প্রফেসনাল ক্যাডারের সদস্য হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (চার বছর মেয়াদী) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা আবশ্যক (বিজ্ঞপ্তির প্রফেসনাল ক্যাডারের শিক্ষাগত যোগ্যতা অংশ দেখুন) যেমন সরকারি কলেজের শিক্ষক হতে হলে সংশ্লষ্ট বিষয়ে স্নাতক (৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স) অথবা স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশে প্রফেসনাল ক্যাডারের অন্তর্ভূক্ত এমন কিছু ক্যাডার আছে যেখানে পূর্ব অর্জিত নির্দিষ্ট ডিগ্রি থাকার দরকারনেই। যে কোন বিষয়ে অথবা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলেই চলে। যেমন- বিসিএস (ইকনমিক) ও বিসিএর (তথ্য) ক্যাডারে প্রফেসনাল পদসমূহের জন্য একক কোন বিষয় নয় বরং বিভিন্ন বিষয়ের ডিগ্রিধারীদের এসব ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং সরকারি চাকরি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বিভিন্ন ক্যাডারে প্রফেসনাল পদ রয়েছে (বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে)।

BCS প্রস্তুতি

বিসিএস পরীক্ষার বিস্তৃতি যেমন ব্যাপক তেমনি এর প্রস্তুতি অনেক বেশি কিন্তু সহজ। কেন এই বিস্তৃতি (Dispersion)? আসলে কর্তৃপক্ষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মানসিক, শারীরিক ও জ্ঞানগত দিক থেকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষকে নির্বাচন (Select) করতে চায়। মানসিক দিক দিয়ে যে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে মানানসই করতে পারা বিসিএস কর্মকর্তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং জ্ঞান জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার বিচরণ করার ক্ষমতা জরুরি। এর অর্থ এই নয় যে সব বিষয়েই বিশেষজ্ঞ হতে হবে। বরং সকল ক্ষেত্রে প্রাথমিক ধারণা থাকাই যথেষ্ট। যে কোন একটি বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে আনুপাতিক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে কমপক্ষে ৫০/৬০ জনের মধ্যে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে কর্মে যোগদান করতে পারে।
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিই প্রথম দরকার। মানসিক প্রস্তুতি থাকলে সহজেই চান্স পাওয়া যাবে।

কখন প্রস্তুতি নিবেন ?

এ ব্যাপারে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মত প্রকাশ করলেও আমার দৃষ্টিতে এইচএসসি পাশ করার পর পরই মানসিকভাবে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করা দরকার। এতে অনার্স এবং মাস্টার্স পড়ার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি এগোতে থাকবে। বিসিএসের মানসিক প্রস্তুতি থাকলে মনে করতে হবে আপনার প্রতিটি ক্লাশ, হলে অবস্থান, শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ, নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সব কিছুই বিসিএসের জন্য জরুরি এবং এতে প্রতিটি কাজে গুরুত্ব বেড়ে যাবে। ফলে বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া সহজ হবে।

পড়তে হবে যা যা:

প্রথমে এ রচনার শেষে সংযুক্ত সার্কুলারটি দেখুন এবং একাধিক বার পড়ুন। বিসিএস ক্যাডার, পরীক্ষার বিষয় ও প্রতিটি বিষয়ের নম্বর বণ্টন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করুন। আপনার প্রত্যাহিক জীবনে কাজের অবসরে প্রতিটি বিষয়েরই প্রস্তুতি নিতে থাকুন। খুব বেশি সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই, তবে কখনো ভুলা যাবে না যে, আপনি ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হতে চান।

দৈনন্দিন যে যে বিষয় চিন্তায় থাকা উচিত:

পত্র পত্রিকা যতটুকু পড়বেন মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তথ্য আত্মস্থ করবেন, অন্যের সাথে শেয়ার করবেন। রেডিও, টিভির নিউজ শুনবেন, বুঝার চেষ্টা করবেন, শেয়ার করবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান ঘটনাবলী বুঝার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন রেডিও, টিভি চ্যানেলের ইংরেজি নিউজ বুঝার চেষ্টা করবেন, আপনার ইংরেজি বুঝার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ভ্রমণ করবেন, প্রতিটি ঐতিহাসিক স্থান এবং নিদর্শনসমূহ মনে রাখার চেষ্টা করুন। স্কুল কলেজের ছোট ভাই-বোন অথবা অন্যদের সাথে তাদের পাঠ্য বইয়ের যে কোন ছোট্ট একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। দেখবেন তারা খুব আনন্দ পাবে এবং আপনার ঐ বিষয়ে বিসিএস এর প্রস্তুতি হয়ে যাবে। নিজ গ্রামের বয়োজৈষ্ঠকে সম্মান করুন, তার কাছে এলাকার গল্প শুনুন ওটা বিসিএসের প্রস্তুতি হবে। আমার দৃষ্টিতে, আপনার ছোট এবং বড় যিনি আপনার কাছে কিছু জানতে চান তিনিই আপনার বিসিএস এর শিক্ষক। তাঁর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবার চেষ্টা করুন, না পারলে সময় নিন, ওটা আপনার বিসিএসের প্রস্তুতি হবে। রাস্তার সাইনবোর্ড, রেডিও, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনও বিসিএসের তথ্য হতে পারে, যদি আপনি সচেতন হন। মোট কথা ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’ এ ধারণা মনে স্থায়ী করুন।

সার্বক্ষণিক উপকরণ:

কিছু বই শুরু থেকে আপনার সঙ্গী হওয়া উচিত অথবা আপনার সংগ্রহে থাকা উচিত। এগুলো- (১) বাংলাদেশের সংবিধান (২) ম্যাপের উপর কিছু বই (৩) নিজের সংগ্রহে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ম্যাপ (৪) নবম ও দশম শ্রেণীর একসেট বই। (৫) Oxford Advanced Learner’s Dictionary, বাংলা একাডেমি ইংরেজি বাংলা অভিধান এবং যে কোন একটি বাংলা টু বাংলা অভিধান। এছাড়া প্রতি মাসে প্রকাশিত যে কোন একটি চাকরির তথ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন। যেমন- কারেন্ট নিউজ, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি।

যেভাবে আত্মস্থ করবেন:

ইংরেজি ও বাংলা সংবাদ পড়ুন এবং শুনুন। প্রতিটি News item বুঝার চেষ্টা করুন। দেশের নাম রাজধানী, রাষ্ট্রব্যবস্থা, মুদ্রার নাম ইত্যাদি বিষয় আত্মস্থ করার জন্য আজকের News এ উল্লেখিত দেশটিকেই বেছে নিন। খেলা দেখছেন দেশটাকে বুঝার চেষ্টা করুন। একজন কুটনৈতিক যোগদান করলেন, তার দেশটাকে ভালো করে চিনুন। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোন স্থান হলে একইভাবে চেনার চেষ্টা করুন। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা পরে আসবে।

বিষয়সমূহের পর্যালোচনা:

সাধারণ বাংলার অধিকাংশ পড়াশুনা হাই স্কুল বা মাধ্যমিক পর্যায়ের। শুধুমাত্র রচনাটি অনেক বড় মানের। এখানে কবি-সাহিত্যিক ও তাদের রচনা এবং ব্যাকরণগত যে সমস্ত প্রশ্ন আসে তার শতকরা ৭০/৮০ ভাগ মাধ্যমিক পর্যায়ের। সতরাং আপনার ছাত্রই আপনাকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেতে সহায়তা করবে। অনুরূপভাবে ইংরেজি বিষয় কল্পনা করলে প্রস্তুতির একই চিত্র বের হয়ে আসবে। গাণিতিকি যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা সম্পূর্ণ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় যে সমস্ত গাণিতিক যুক্তি থাকে সেইগুলো চর্চা করলেই এ বিষয়ের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য পত্র-পত্রিকার খবর, ভৌগোলিক জ্ঞান এবং চলমান ঘটনাবলী কে কৌশলের মাধ্যমে আত্মস্থ করার চেষ্টা করুন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ভূগোলের পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞান বিষয়কে মনোযোগ সহকারে গড়ুন অথবা পড়ান। আপনার প্রস্তুতি যথেষ্ঠ হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য এখন থেকে নিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পড়তে অভ্যস্থ হোন, বিজ্ঞাপনসমূহ মনোযোগ সহকারে শুনুন, আপনার প্রস্তুতি হয়ে যাবে। তাহলে বিসিএস আর কঠিন থাকলো না।

সম্ভাবনা:

আপনি যদি এইচএসসি এর পর এভাবে শুরু করেন তাহলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর যে বিসিএস পাবেন সেটাতেই অংশগ্রহণ করুন, আপনার চান্স পাবার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি আপনি এখন অনার্স ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ যে বর্ষে হোন না কেন আজই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন। আপনার পক্ষে Manage করা সম্ভব। সর্বশেষ কথা- এগুলো হল খুব সুন্দর শুরু, শেষ নয়।

বিসিএস এর পড়াশুনা দীর্ঘ মেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী নয়। হঠাৎ কয়েক দিন বা কয়েক মাসে বিসিএস এর ব্যাপক পড়াশুনার সম্ভব নয়। সম্ভব কেবল ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘদিন মানসিক দৃঢ়তার সাথে অব্যাহত চর্চার মাধ্যমে। কোন চাপ অনুভব করবেন না। বিসিএস পরীক্ষার আগে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনি প্রস্তুতিতে এগিয়ে আছেন। মানসিক শক্তি আপনাকে সাফল্যের চাবি দিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।

BCS পরীক্ষায় যা দিতে হয়

বিসিএস পরীক্ষা ৩ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে প্রিলিমিনারী, পরে লিখিত এবং সর্বশেষ ভাইভা। প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানে আপনি লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। লিখিত উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারবেন। চূড়ান্ত মেধা স্কোর লিখিত ও মৌলিক পরীক্ষার নম্বরের আলোকে তৈরি হয়। প্রিলিমিনারী পরীক্ষার নম্বর পরবর্তীতে তেমন ব্যবহার নেই। কত নম্বর পেলে প্রিলিমিনারী উত্তীর্ণ হবেন তার সঠিক হিসাব নেই। উপর থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যককে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এতে সর্বনিম্ন ৪৬ এ উত্তীর্ণ হওয়ার যেমন রেকর্ড আছে তেমনি সর্বনিম্ন ৬৮ এর রেকর্ডও আছে।

বিসিএস নমুনা বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের নিম্নলিখিত ক্যাডারের শূন্য পদে প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিকট হইতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব আবেদনপত্র আহ্বান করিতেছেন।

২। বিশেষ দ্রষ্টব্য

(ক) যেকোন ক্যাডারের পদের সংখ্যা বাড়াইবার, কমাইবার বা বাতিল করিবার অধিকার সরকার সংরক্ষণ করেন।

(খ) কোন প্রার্থী বিদেশ হইতে অর্জিত তাহার কোন ডিগ্রিকে বিসিএস ক্যাডারের পদ সমূহের পাশে বর্ণিত কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সমমানের বলিয়া দাবি করিলে তাহাকে এই মর্মে সংশ্লিষ্ট ইকুইভ্যালেন্স কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত ইকুইভ্যালেন্স সার্টিফিকেট এবং মার্কশীটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সহিত জমা দিতে হইবে। ইকুইভ্যালেন্স সনদের জন্য প্রকৌশল বিষয়ের ডিগ্রিধারীদেরকে বুয়েটের সহিত, মেডিকেল ডিগ্রিধারীদেরকে বিএমডিসি’র সহিত এবং সাধারণ বিষয়ে ডিগ্রিধারীদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহিত যোগাযোগ করিতে পরামর্শ দেওয়া যাইতেছে। উক্ত সনদ মৌখিক পরীক্ষার আগে জমা দিলেও চলিবে। তাঁহারা ইতোমধ্যে প্রাপ্ত ডিগ্রি সনদ সংযুক্তকরণ পূর্বক বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দিতে পারিবেন।

(গ) যদি কোন প্রার্থী এমন কোন পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ হইয়া থাকেন যাহা চাহিদাকৃত শ্রেণী/বিভাগসহ পাস করিলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করিবেন এবং যদি তাহা ঐ পরীক্ষার ফলাফল বিসিএস এর আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিত না হয় তাহা হইলেও তিনি আবেদনপত্র দাখিল করিতে পারিবেন, তবে তাহা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হইবে। কেবল সেই প্রার্থীকেই অবতীর্ণ প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করা হইবে যাহার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর লিখিত পরীক্ষা বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হইয়াছে মর্মে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা নিয়সন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত সনদ অবশ্যই আবেদনপত্রের সহিত দাখিল করিতে হইবে। অন্যথায় আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না। বিসিএস এর মৌখিক পরীক্ষার সময় উক্ত হরীক্ষা পাসের প্রমাণস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল/ সাময়িক সার্টিফিকেট কমিশনে অবশ্যই দাখিল করিতে হিইবে। অন্যথায় মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হইবে না এবং প্রার্থীতাও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় অবতীর্ণ সনদের মূলকপি অবশ্যই দাখিল করিতে হইবে।

৩। বয়সসীমা

(ক) মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য সকল ক্যাডারের প্রার্থীর জন্য ২১ হইতে ৩০ বৎসর।

(খ) মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য ২১ হইতে ৩২ বৎসর।

(গ) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের শুধুমাত্র উপজাতীয় প্রার্থীদের বেলায় ২১ হইতে ৩২ বৎসর।

(ঘ) বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কোন পদে বিরতিহীনভাবে এডহক ভিত্তিতে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এডহক নিয়োগের সময় তাঁহারা যদি উর্দ্ধতন বয়সসীমা অতিক্রম না করিয়া থাকেন তাহা হইলে কেবল সেই পদের জন্য তাঁহাদের উর্দ্ধতম সময়সীমা শিথিলযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে। যে সকল প্রার্থী বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কোন পদে এডহক ভিত্তিতে নিয়োজিত নহেন তাঁহাদের ক্ষেত্রে উর্দ্ধতম সময়সীমা শিথিলযোগ্য নহে।

বিঃ দ্রঃ প্রার্থীর বয়স একদিনও কম বা বেশি হইলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না এবং এই জাতীয় প্রার্থীর আবেদনপত্র দাখিল করা উচিত হইবে না।

৪। জাতীয়তা

(ক) প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হইতে হইবে।

(খ) যে সকল প্রার্থী কোন অ-বাংলাদেশী নাগরিককে বিবাহ করিয়াছে অথবা বিবাহ করিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হইয়াছেন তাঁহাদের আবেদনপত্র দাখিল করা উচিত হইবে না।

(গ) প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রে উল্লিখিত প্রদত্ত স্থায়ী ঠিকানা যদি ইতিপূর্বে সার্টিফিকেট বা অন্যত্র উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা হইতে ভিন্ন হয় কিংবা মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি স্বামীর ঠিকানা ব্যবহার করা হয় তবে সেক্ষেত্রে প্রার্থীকে পরিবর্তিত স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যন/ ওয়ার্ড কমিশনার/ পৌর চেয়ারম্যান/ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ নোটারী পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র জমা দিতে হইবে।

৫। আবেদনপত্র ফরম ও অন্যান্য তথ্যাদি প্রাপ্তিস্থান

সোনালী ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শাখা হইতে আবেদনপত্র অর্থাৎ বিপিএসসি ফর্ম- ১ ও বিপিএসসি ফর্ম-২ বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থীদের অবশ্য পালনীয় নির্দেশবালী এবং জ্ঞাত বিষয়সমূহ, সিলেবাস, বিপিএসসি ফর্ম-২ পূরণের নির্দেশাবলী ও প্রিলিমিনারী (অবজেকটিভ) টেস্ট সম্বন্ধীয় নির্দেশাবলী ইত্যাদি নগদ ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকার বিনিময়ে ব্যাংক খোলা থাকা সাপেক্ষে সংগ্রহ করা যাইবে।

৬। আবেদনপত্র দাখিল

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নির্ধারিত ফর্মে (বিপিএসসি ফর্ম-১ এবং বিপিএসসি ফর্ম-২) আবেদন করিতে হইবে এবং পূরণকৃত আবেদনপত্র সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন, পুরাতন বিমান বন্দর ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ ঠিকানায় আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ এর মধ্যে অবশ্যই পৌছাইতে হইবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের কোন আঞ্চলিক অফিসে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হইবে না। ঢাকাস্থ প্রধান অফিস ব্যতীত কোন আঞ্চলিক অফিসে আবেদন পত্র জমা দিলে তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ বিকাল ৪.০০ ঘটিকার পরে প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
৭। প্রবেশপত্র

প্রার্থী তাহার নাম, ঠিকানা ও যে কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক উহার নাম বিপিএসসি ফর্ম-১ এর সহিত প্রদত্ত প্রবেশপত্রের যথাস্থানে স্পষ্ট অক্ষরে লিখিবেন। এক কপি ফটো প্রবেশহত্রের যথাস্থানে আঠা দ্বারা লাগাইতে হইবে। প্রবেশপত্রে রেজিষ্টেশন নম্বরের স্থানটি কমিশন সচিবালয় পূরণ করিবেন। প্রবেশপত্র আবেদনপত্রের সহিত লাগান অবস্থায় থাকিবে।

৮। প্রিলিমিনারী অবজেকটিভ টেস্ট

(ক) প্রার্থীদের ১০০ (একশত) নম্বরের একটি লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে হইবে। প্রশ্নের ধরন হইবে নৈর্ব্যত্তিক (অবজেকটিভ টাইপ) এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হইবে।

(খ) এই পরীক্ষায় মোট ১০০ (একশত) টি প্রশ্ন থাকিবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের মান হইতে ১ (এক) এবং পরীক্ষার জন্য পূর্ণ সময় দেওয়া হইবে ১ ঘন্টা।
(গ) নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের উপর প্রশ্ন করা হইবে : সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ বিষয়াবলী, সাধারণ জ্ঞান : আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী এবং সাধারণ জ্ঞান : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানসিক দক্ষতা এবং গাণিতিক যুক্তি।

(ঘ) উপরের প্রতিটি বিষয়ের উপর কমপক্ষে ২০টি করিয়া প্রশ্ন থাকিবে। এই পরীক্ষা বিসিএস প্রিলিমিনারী টেস্ট সম্বন্ধীয় নির্দেশাবলী অনুসরণপূর্বক পরিচালিত হইবে। সুতরাং “প্রিলিমিনারী টেস্ট সম্বন্ধীয় নির্দেশাবলী” ভাল করিয়া পড়িতে হইবে।

(ঙ) বিসিএস প্রিলিমিনারী (অবজেকটিভ) টেস্ট ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হইতে পারে। সঠিক তারিখ, সময় ও আসন ব্যবস্থা (পরীক্ষা হলের নামসহ) যথাসময়ে খবরের কাগজের মাধ্যমে জানান হইবে।

(চ) যে সকল প্রার্থী প্রিলিমিনারী (অবজেকটিভ) টেস্টে উত্তীর্ণ হইবেন শুধু তাহারাই বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

৯। পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও ইহাদের নম্বর বন্টন

মোট নম্বর : ১০০০।

১। সাধারণ ক্যাডারের জন্য-

(ক) বাংলা – ২০০

(খ) ইংরেজী – ২০০

(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ২০০

(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – ১০০

(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা – ১০০

(চ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি – ১০০

(ছ) মৌখিক পরীক্ষা – ১০০

সর্বমোট ১০০০

২। প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য-

(ক) বাংলা – ১০০

(খ) ইংরেজী – ২০০

(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ২০০

(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – ১০০

(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা – ১০০

(চ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা – ২০০

(ছ) মৌখিক পরীক্ষা – ১০০

সর্বমোট ১০০০

বি: দ্র: যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও প্রফেশনাল উভয় ক্যাডারের পদে পছন্দক্রম দিতে ইচ্ছুক হইবেন তাহাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত প্রফেশনাল ক্যাডারের ২(চ) নং- এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হইবে।

১০। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর গড়ে ৪৫% মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর গড় ৪০% এবং লিখিত পরীক্ষায় কোন বিষয়ে ২৫% নম্বর এর কম পাইলে উক্ত বিষয়ে কোন নম্বর পায়নি বলিয়া গণ্য হইবে

১১। স্বাস্থ্য পরীক্ষা

কমিশন কর্তৃক মনোনয়নের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদিগকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সম্মুখউপস্থিত হইতে হইবে। মেডিকেল বোর্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালীন সময়ে যে সকল পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫” এর কম এবং যে সকল মহিলা প্রার্থীর উচ্চতা ৪”-১০” এর কম হইবে তাহারা কোন ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য শারীরিকভাবে যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না। পুরুষ প্রার্থীর ওজন ৪৫ কেজির কম এবং মহিলা প্রার্থীর ওজন ৪০ কেজির কম হইলে তাঁহারাও অস্থায়ীভাবে অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন। প্রার্থীদিগকে বিধি অনুযায়ী দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হইতে হইবে। অন্যান্য স্বাস্থ্যগত যোগ্যতা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাবলী যথা সময়ে জানানো হইবে।

১২। পরীক্ষার উত্তরদানের ভাষা

বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা সম্পর্কিত বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর সংশ্লেষ্ট ভাষাতেই লিখিতে হইবে। অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর বাংলা বা ইংরেজি-এর যে কোন একটিতে লিখিতে হইবে। উভয় ভাষা ব্যবহার করা যাইবে না। কোন বিষয়ের প্রশ্নপত্রে অন্য কোনরূপ নির্দেশ থাকিলে উক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ঐ নির্দেশ অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর লিখিতে হইবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কেন্দ্র পরিবর্তনের কোন আবেদন গ্রহণ করা হইবে না।

১৩। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদনপত্র যে সকল কারণে বাতিল হইতে পারে:

(ক) বোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত এসএসসি, এইচএসসি স্নাতক (পাস/সম্মান) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সহিত জমা না দিলে আবেদনপত্র বাতিল হইবে।

(খ) প্রার্থীর নিজের নাম ও পিতার নাম এসএসসি অথবা সমমানের সনদে যেভাবে লেখা হইয়াছে আবেদনপত্রেও হুবহু সেইভাবে লিখিতে হইবে। নিজের ও পিতার নামে কোনরূপ গড়মিল পরিলক্ষিত হইলে আবেদনহত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

(গ) অবতীর্ণ প্রার্থীদের পরীক্ষা পাশের প্রমাণস্বরূপ মূল সার্টিফিকেট মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই দাখিল করিতে হইবে, অন্যথায় তাহার প্রার্থীতা বাতিল করা হইবে।

(ঘ) শেষ তারিখের পরে কোন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হইবে না, কারণ যাহাই হউক না কেন।

(ঙ) এই বিজ্ঞপ্তিতে যে সকল শর্ত আরোপ করা হইল তাহা যদি আবেদনপত্র এবং উহার সহিত প্রদত্ত ফর্মের কোন শর্তের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহা হইলে বিজ্ঞপ্তির শর্ত গ্রহণযোগ্য হইবে।

(চ) বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত সকল শর্ত সম্পর্কে ভালভাবে নিশ্চিত হইয়া আবেদন করিবার জন্য অনুরোধ করা যাইতেছে। বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্তাদির কোন ঘাটতি যেমন সয়স কম বা বেশি, শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব ইত্যাদিসহ অন্য যে কোন ভুলের জন্য প্রার্থী অযোগ্য হইলে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্বে কমিশন তাহার প্রার্থীতা বাতিল করিবেন এবং সেই প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না। তাহাছাড়াও পরবর্তী পার্যায়ে প্রার্থীর কোন অযোগ্যতা দৃষ্টিগোচর হইলে লিখিত, মৌখিক পরীক্ষার পূর্বে বা পরে যে কোন পর্যায়ে কমিশন তাহার প্রার্থীতা বাতিল করিতে পারিবেন।

১৪। গোপনীয়

প্রার্থীদের পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র গোপণীয় দলিল হিসাবে গণ্য হইবে এবং কোন অবস্থাতেই কোন প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধিকে উহা প্রদর্শন করা হইবে না। উত্তরপত্র সমূহের পুন:পরীক্ষণের কোন অনুরোধও বিবেচনা করা হইবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

১৫। কোন প্রার্থী আবেদনপত্রে জ্ঞাতসারে কোন ভুল তথ্য প্রদান করিলে বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করিলে বা কোন জাল সার্টিফিকেট দাখিল করিলে বা সয়সও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোন অংশ পরিবর্তন করিলে বা পরীক্ষার হলে কোনরূপ দুর্ব্যবহার করিলে, তাঁহাকে শুধু এই পরীক্ষার জন্যই নয় বরং কমিশন কর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী অন্য যে কোন পরীক্ষার জন্য এমনকি সরকারি চাকুরির জন্যও অযোগ্য করা হইতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে প্রার্থীকে ফৌজদারী আইনে সোপর্দ করাও যাইতে পারে। নিয়োগের পর এ জাতীয় কোন ভুল তথ্য প্রকাশ পাইলে প্রার্থীকে চাকুরি হইতে বরখাস্ত করা ছাড়াও তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে।

সর্বশেষ কথা BCS -এ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দরকার সঠিক নির্বাচন এবং সেই অনুপাতে প্রস্তুতি। আপনার প্রাথমিক প্রস্তুতি যথাযথ হলেই উন্নততর জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে BCS -এ উত্তীর্ণ হওয়া খুবই সহজ।