ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম

ডিলারশিপ ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। ডিলার ব্যবসায় ঝুঁকি তুলনামূলক কম এবং লাভের পরিমাণ বেশি। আপনার চাই শুধু মার্কেটিং নলেজ, বিজনেস প্লানিং আর উপস্থিত বুদ্ধি।

Dealership business in Bangladesh

 

কোন কোম্পানির ডিলারশিপ নেওয়ার মানে হল, একটি নিদিষ্ট এলাকায় ঐ কোম্পানির পণ্যের বিপণন এবং বণ্টন, সহ যাবতীয় কাজের দায়িত্ব পালন করা। আর যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন তাকে ডিলার বলা হয়।

ডিলারশিপ কি ?

ডিলারশিপ ব্যবসা হচ্ছে কোন কোম্পানির একটা নিদিষ্ট এলাকা বা অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা। অর্থাৎ, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো পাইকারি বা খুচরা বাজারে বিক্রয় করা।

কিভাবে ডিলারশিপ নেবেন ?

এবার আসা যাক ডিলারশিপ নিতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।

-সর্বপ্রথম নিজের একটা ফার্ম বা এজেন্সি লাগবে।
-যে কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নিবেন সেই কোম্পানির নিকট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
-একটা ট্রেড লাইসেন্স থাকা লাগবে।
-নিজের একটা ব্যাংক একাউন্ট লাগবে।

এরপর আপনাকে কোম্পানির প্রোফাইল অর্থাৎ আপনার অফিস কোথায় গোডাউন কোথায়, কি সাইজের গোডাউন কতজন কর্মচারী আছে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে কোম্পানির কাছে জমা দিতে হবে।

আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কোম্পানির সাথে একটা চুক্তি পত্র করতে হবে এবং সেই চুক্তি পত্রে সাইন করতে হবে।

চুক্তিপত্রে যেসব বিষয় থাকবে:

-আপনি কোম্পানি থেকে কি কি প্রোডাক্ট নিতে চান।
-কি পরিমাণ নিতে চান।
-কোম্পানি কি পরিমাণ কমিশন দিবে আপনাকে।
-ট্রাক বা অন্য কোন ট্রান্সপোর্ট দিয়ে মাল কোম্পানি আপনার গোডাউনে পাঠাবে ইত্যাদি।

সব কিছু সেই চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকবে। আপনার সব রিকুয়ারমেন্ট যদি সেই চুক্তি পত্রে উল্লেখ থাকে তবে, আপনি সেখানে সই করবেন। তারপর আপনার ব্যবসা শুরু করবেন।

ইনভেস্টমেন্ট নির্ধার

এবার হচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট যে কোন ব্যবসার মতো ডিলারশিপ ব্যবসা ও ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন। ইনভেস্টমেন্ট দুই প্রকার হয়ে থাকে:

-সিকিউরিটি মানি
-প্রোডাক্টের কস্ট

সিকিউরিটি মানি: সিকিউরিটি মানি হচ্ছে যে কোন কোম্পানি তাদের কাছে কিছু টাকা সিকিউরিটি হিসাবে জমা রাখা। কোন কোম্পানির সিকিউরিটি কত টাকা তা কম্পানি অনুযায়ী নির্ভর করে। যে কোম্পানির ভ্যালু যত বেশি তার তত বেশি সিকিউরিটি মানি লাগে। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার, ১ লক্ষ, ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ আরো বেশিও হতে পারে। এই টাকাটা ও কোম্পানির কাছে জমা রাখতে হয় ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য। মনে রাখবেন কোম্পানি এই টাকাটা একেবারেই নিয়ে নেয় না, যখন বইআপনার সাথে কোম্পানির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে তখন এই টাকাটা আপনি আবার ফেরত পাবেন।

প্রোডাক্টের কস্ট: অর্থাৎ আপনি যে প্রডাক্ট নিচ্ছেন, সেই মূল্যের একটি অংশ আপনাকে দিতে হবে। ধরুন আপনি এক গাড়ি ড্রিংকস নিলেন তার যে মূল্য তার অর্ধেক টাকা কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। এরপর তারা আপনার কাছে পণ্য পাঠিয়ে দিবে।

ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া

একজন ডিলার শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ডিলার নেন না। অনেকেই পাঁচটা থেকে দশটা কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে থাকেন। শুরুতে অল্প পুজি দিয়ে করা যায় এমন পণ্যগুলো সিলেকশন এ রাখা ভালো । নিম্নে এই অল্প পুজির লাভজনক পণ্যগুলো আপনার তালিকায় রাখতে পারেন।

-কসমেটিকস প্রোডাক্টস
-চা পাতার ব্যবসা
-সফট ড্রিংকস
-আসবাবপত্র
-ষ্টেশনারী প্রোডাক্টস

কোনো কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নেওয়ার আগে ওই কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কোম্পানির প্রোডাক্টস , তাদের ব্যবসায়িক কর্ম পদ্ধতি ইত্যাদি। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ভালভাবে সে বিষয়ে জেনে শুনে নামাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Comment

5 thoughts on “ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম”

Job Circular
Business
Entrepreneur
Scroll to Top