এনআইডি NID হারিয়ে গেলে করণীয় কি ?
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন? আসুন জানি জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন কিভাবে পাবেন আপনার হারানো স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
এনআইডি NID হারিয়ে গেলে করণীয় কি ?
জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে আমাদের সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে, নিকটস্থ থানায় একটি হারানো জিডি করা। তারপর জিডির কপি আপলোড করে অনলাইনে এনআইডি রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
তাই এখানে আমি দেখাবো, সাধারণ ডায়েরীর একটি নমুনা। কিভাবে সাধারণ ডায়েরী বা জিডি আবেদন লিখবেন তার একটি নমুনা নিচে দেখানো হল।
তবে আপনি কাজটি আমাদের সহযোগিতায় করিয়ে নিতে পারেন। আমরা আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি বের করে দিতে পারব। নিচের লিংকে দেখুন।
হারানো এনআইডি অনলাইন কপি ডাউনলোড
জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর জিডি লেখার নিয়ম
নমুনা ১
তারিখঃ
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ,
থানার নাম,
উপজেলা, জেলা।বিষয়ঃ সাধারন ডায়েরির জন্য আবেদন।
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি কামাল উদ্দিন, পিতা- পিতার নাম, গ্রাম- গ্রামের নাম, ডাকঘরঃ আপনার ডাকঘর, উপজেলাঃ উপজেলার নাম, জেলাঃ জেলার নাম, আমি থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, গত হারানোর তারিখ তারিখে আমার নিজ বাড়ি হতে যেকোন একটি স্থানের নাম আসার পথে অজ্ঞাত স্থানে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ডটি হারিয়ে ফেলি। জাতীয় পরিচয়পত্র/ স্মার্ট কার্ড নম্বরঃ ৮****৫৮০০২৮৯, সম্ভাব্য অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাচ্ছি না। এমতাবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়ে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করতে আপনার সু-আজ্ঞা হয়।
নিবেদক
এখানে স্বাক্ষর
(এখানে আপনার নাম)
মোবাইলঃ মোবাইল নম্বর
ঠিকানাঃ
এভাবে আবেদনটি লিখে ২ কপি করবেন। তারপর যেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র হরিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় যাবেন এবং দায়িত্বরত অফিসারকে আবেদনের কপিগুলো দিবেন।
তিনি আবেদনটি গ্রহণ করে জিডি নম্বর ও তার স্বাক্ষর করে সিল দিয়ে আপনাকে ১ কপি দিবেন। সেই কপিটি আপনার কাছে থাকবে।
জিডি কপি সংগ্রহ করার সময় জিডি গ্রহনকারী পুলিশ অফিসারের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর জেনে নিবেন। নাম ও পদবী সাধারণত জিডি কপিতে সীলে দেয়া থাকে, শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরটি নিলে চলবে।
ব্যস আপনার প্রথম কাজ শেষ, এবার জিডি কপি দিয়ে NID Card Reissue আবেদন করতে হবে।
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তোলার নিয়ম
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর জিডি কপি আপলোড করে অনলাইনে এনআইডি কার্ড রিইস্যুর আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যুর আবেদন করবেন তার প্রক্রিয়া নিচে দেখানো হলো:
ধাপ ১. জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে এ রেজিস্ট্রেশন করুন
থানায় সাধারণ ডায়েরী করা শেষে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সেবার ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পূর্বে Registration করা থাকলে, এনআইডি নম্বর ও পার্সওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন। পার্সওয়ার্ড ভুলে গেলে, পুনরায় রিসেট করতে পারেন।
নতুন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে, NID No, Date of Birth, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, Mobile Verification এবং Face Verification। ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য NID Wallet অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে।
ধাপ ২. হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন করুন
রেজিস্ট্রেশনের পর একাউন্টে লগইন করবেন। তারপর ডানপাশের রিইস্যু অপশনে যান। এখানে নিচের মত একটি ফরম ওপেন হবে।
এখানে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যান।
এ ধাপে আবেদন সাধারণ হলে Regular সিলেক্ট করুন, জরুরী হলে Urgent সিলেক্ট করুন। যদি আপনার স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে Smart Card অপশন সিলেক্ট করতে পারেন।
পরবর্তী ধাপে রকেট, বিকাশ বা অন্য কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে NID Reissue Fee পরিশোধ করে এবং জিডি কপি আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।
আরও পড়ুন- নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
ধাপ ৩. আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
আবেদন অনুমোদন হলে আপনার মোবাইলে SMS দিয়ে জানানো হবে। তখন জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্টে আবার লগইন করে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন PDF কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। এনআইডি কার্ডে কোন ভূল থাকলে তা প্রয়োজনীয় প্রমাণ আপলোড করে ঘরে বসেই সংশোধন করতে পারবেন। দেখুন কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করবেন।
Related Post
বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয় সনদ হচ্ছে ভোটার কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি বলা হয়। দেশের ভিতর এটি পরিচয় প্রমাণের প্রধান মাধ্যম। আঠার বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে আইনে। NID registration তাই নিজেকে ভোটারে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক কর্তব্য। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ কার্ড প্রদানসহ যাবতীয়…
জাতীয় পরিচয়পত্র সাধারণ বা স্মার্ট কার্ড পেতে সাধারণত অনেক সময় লাগে। এটি তৈরি হতে এবং বিতরণ একটি সময় সাপেক্ষে ব্যাপার। আপনি যদি শুধুমাত্র এনআইডি নম্বর পেয়ে যান তবে এটি ব্যবহার করে ব্যাংক, বীমা, মোবাইল ব্যাংকিং, সিম ক্রয় বিক্রয় ইত্যাদি সেবা পেতে পারেন। NID check by form number নিচে কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে, ভোটার আইডি কার্ড চেকিং…
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন NID কাডের্র সকল সেবা এখন থেকে অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাই এখন আপনি চাইলেই ঘরে বসে আপনার NID কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এনআইডি NID সংশোধন করার নিয়ম অনলাইনে NID সংশোধন করতে হলে প্রথমে আপনাকে নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে আপনার NID এর তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তারপর নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সংশোধনের…